এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৫%

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ন, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশ থেকে অর্থপাচারের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশের আর্থিক খাতে গত এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪.৫৮%। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ১৪ হাজার ১০৬টি, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রথম ১০ দিনে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করলেন ৯৬ হাজারের বেশি করদাতা

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএফআইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫ হাজার ৫৩৫টি।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, “সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেন‌দেন সন্দেহজনক হ‌লে তদন্ত ক‌রি। এরপর য‌দি কো‌নো অপরা‌ধের তথ্য প্রমাণ ‌মি‌লে তাহ‌লে আমরা তা‌দের বিরু‌দ্ধে ব্যবস্থা নিই।”

তিনি বলেন, “মানি লন্ডারিং‌য়ের ৮০% হ‌য় ব্যাং‌কের মাধ্যমে। ব্যাংক য‌দি এ‌টি ব‌ন্ধে সহযো‌গিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা ক‌ঠিন। কারণ একবার মানি লন্ডারিং হ‌য়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না।”

তি‌নি জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দে‌শের স‌ঙ্গে এমওইউর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিএফআইইউর তথ্যে ভিত্তিতে অর্থপাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর ম‌ধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআই‌ডি ১০টি এবং এন‌বিআরের বিশেষ সেল ২টি। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়‌নি।