পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

Babul khandakar
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১২:০৮ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজের ওপর ভারতের শুল্ক আরোপ বৃদ্ধি করায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্কারোপের বিষয়ে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুস গয়ালের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম দিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিইনি। এতে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে আমদানি না করলে দেশি পেঁয়াজ কমে যাচ্ছে এবং দাম আস্তে আস্তে বাড়ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপিও দিয়েছি। কিন্তু এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন। 

আরও পড়ুন: ৮৪ দফা ও ৮ অঙ্গীকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে জাতীয় জুলাই সনদের খসড়া

এখন ভারত তাদের পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। পেঁয়াজ আনা হয়নি বেশি দাম দিয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো শুরু করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, এটা হলো আমাদের সমস্যা। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল তাই বেশি ঘরে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি পেঁয়াজ ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সেজন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। 

আরও পড়ুন: চলতি বছরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিকল্প হচ্ছে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা। মিসর, তুরস্ক, চীন থেকে এটা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা (পেঁয়াজ আমদানি) প্রত্যক্ষভাবে আমাদের দায়িত্ব নয়। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায়িত্ব এড়াতে পারবো না। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এরই মধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি- অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যাতে পেঁয়াজ আনতে পারি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানে আমাদের হাতে কিছু নেই। একটাই আছে, তা হলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাজার শক্তভাবে মনিটর করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

কবে নাগাদ আমদানি করা হবে, এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যারা আমদানি করে তারা কাল থেকেই করতে পারে। যে কেউ ইমিডিয়েট চীন, জাপান, ইরান থেকে পেঁয়াজ আনতে চায়, আমরা তাদের আইপিও দেবো।