‘ঘাপটি মেরে বসে আছে এক-এগারোর কুশীলবরা’

SM Shamim
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ন, ২০ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, ২১ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের গণতন্ত্রে ছোবল মারার জন্য এক-এগারোর কুশীলবরা সুযোগের অপেক্ষায় এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১২০ চিকিৎসকসহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এক-এগারোর কুশীলব ছিলেন তারা জাতিকে এখনও মাঝেমধ্যে জ্ঞান দেয়। টেলিভিশনের পর্দায়, পত্রিকার পাতায় তারা এই জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন। গত নির্বাচনের আগেও তারা সক্রিয় হয়েছিল, যদি কিছু করা যায় সেই আশায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যেমন পরাজিত হয়েছে তেমনি এই কুশীলবদের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়েছে।

এরপর সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই এক-এগারোর কুশীলবরা এখন ঘাপটি মেরে বসে আছে। যদি কোনও সুযোগ পাওয়া যায়... ছোবল মারার জন্য।

আরও পড়ুন: সামনে নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় পরীক্ষা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

এক-এগারোর পরিবর্তনের পর দেশের গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করা হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানো হয়েছিল। তখন জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে আমরা শামিল হয়েছিলাম। জনগণও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মুক্ত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও মুক্ত হয়েছিল। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পরে তার পারসোনাল উইং থেকে ফোন করা হয়েছিল। আমাকে বলেছিল, চলেন একসঙ্গে কিছু করি। অর্থাৎ তারাও অসহায় হয়ে গিয়েছিল। এই অসহায়ত্ব থেকেই তারা ফোন করেছিল যাতে যুগপৎ আন্দোলনে করে ওই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ঘটানো যায়।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। চাপের মুখে এক-এগারোর কঠিন সময়ে তিনি যেভাবে ধৈর্য সহকারে সবকিছু সামাল দিয়েছিলেন, যেভাবে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন তা অভাবনীয়। তিনি একজন দৃঢ়চেতা, ধৈর্যশীল, নেতা ছিলেন। কীভাবে সংকটে, সংগ্রামে, প্রতিকূল পরিস্থিতির মুহূর্তে ধৈর্যহারা না হয়ে অবিচল থাকতে হয়, তা দেখেছি। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকার সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।