আনসার আইনের খসড়া অনুমোদন, বিদ্রোহের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

Babul khandakar
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ন, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৪:৫১ পূর্বাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্রোহ বা বিদ্রোহের চেষ্টা, বিদ্রোহে অংশ নেওয়া এবং ষড়যন্ত্রে উস্কানি দেওয়ার অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

আরও পড়ুন: এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার কখনো ক্ষুণ্ণ হবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের করা আইনটির খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে কোনো আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত নেই। ডিসিপ্লিনারি রুল আছে। ১৯৯৫ সালের আইনটিতে অনেক কিছু সংযোজন করে নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছে। সেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাক, যন্ত্রাংশ ও যানবাহনের অংশ পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করা সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সংক্ষিপ্ত ব্যাটালিয়ন আদালতে সর্বোচ্চ তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। আর যদি অপরাধ শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে বা বিদ্রোহের চেষ্টা করে বা প্ররোচনা দেন বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হবে। এই বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনটিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ সকল বিচারের জন্য দুটি আদালত গঠন করা হবে। একটি সংক্ষিপ্ত আদালত সাধারণ অপরাধ এবং অসদাচরণের বিচার করবে। আরেকটি বিশেষ আদালত। সেখানে গুরুতর অপরাধের বিচার করবে। প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনাল’ থাকবে।’

আরও পড়ুন: মেধা পাচার রোধে 'ট্যালেন্ট হান্ট পুল' গঠন এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ

এ ছাড়া বৈঠকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি (সংশোধন) আইন ২০২৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি আইন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন (সংশোধন), বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বিধিমালাসহ মোট ১৪ টি আইন ও বিধিতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।