দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সাবেক গভর্নর এবং ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এসব কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ এবং কেওয়াইসি (KYC) ফরমসহ সব ধরনের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। কোনো হিসাব যদি বন্ধ হয়েও থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে জোট, পর্দার আড়ালে 'আন্ডারস্ট্যান্ডিং'
যাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ড. আতিউর রহমান দেশত্যাগ করেন। আব্দুর রউফ তালুকদারও পলাতক অবস্থায় গত বছরের ৭ আগস্ট ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন।
ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা ছয়জন সাবেক ডেপুটি গভর্নর হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান এবং আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাসকে বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, সরকার পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই তদন্তেরই অংশ হিসেবে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।





