চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ, সময় পেয়েছে ১২টি
সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোপুরি কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। দুটি স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোনো ক্যাম্পাসে (অস্থায়ী ক্যাম্পাস) শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। আর ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
এই ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে গত মাসেই কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ইউজিসি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নেওয়া গৃহীত পদক্ষেপগুলো সবাইকে জানিয়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি—দেশের এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে হবে। আর ব্যর্থ হলে এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য
বর্তমানে দেশে ১০৮টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০১০ সালে সংশোধিত আইন হওয়ার পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কয়েক দফা সময় দেওয়ার পরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। তবে অনেকেই ইতিমধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে বা করছে।
ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। এগুলোতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া স্টেট ইউনিভার্সিটি ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তবে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত প্রোগ্রামগুলো যথারীতি চালু থাকবে।
সময় পেল যারা: স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হওয়ায় তিন মাস সময় পেল ছয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য এগুলো আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেয়েছে।





