ববিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

আপাতত আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা যে কর্মসূচি দেবে সেটাই আমাদের কর্মসূচি হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববির)কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
২৭ জুলাই শনিবার বিকেল সোয়া চারটায় ববির প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ববি সমন্বয়ক সুজয় শুভ লেখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিন ব্যাপী নবীনবরণের আয়োজন করলো রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
তাতে বলা হয়, গত ০১ জুলাই থেকে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ সরকারী চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান করে এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধন করেছে, আমরা মনে করি তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। তবে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু দাবি রয়েছে জানিয়ে চারদফা দাবী তুলে ধরেন শুজয়।
১। অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: রাবির সোহরাওয়ার্দী হলে ডাস্টবিন দিলো কাউসার-সাচ্চু-ইমরুল পরিষদ
২। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোন ধরণের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না।
৩। শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোন ধরণের হয়রানি করা যাবে না।
৪। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সুজয় জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন তাদের দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোন কর্মসূচী নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করনীয় আপনাদের জানাবো।
এর আগে দুপুর একটায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল ববি শিক্ষার্থীরা। সেসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেষ্টনী তৈরি হওয়ায় তারা সংবাদ সম্মেলন করতে ব্যর্থ হন এবং সাংবাদিকরা দু ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষা করার পর সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান। পরবর্তীতে পুনরায় বিকেল চারটায় সংবাদ সম্মেলন সময় নির্ধারণ করা হয় এবং সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পাশে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুজয় শুভ। পাশে ছিলেন সমন্বয়ক শারমিলা জামান সেঁজুতি, হাবিবুর রহমান রাফি সহ আরো দুজন শিক্ষার্থী এবং তাদের ঘীরে ছিলেন ডিবি পুলিশের সদস্যসহ সাংবাদিকরা।