স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪২ অপরাহ্ন, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৬ অপরাহ্ন, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি পাঁচ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র স্কুলিং মডেলভিত্তিক খসড়া অধ্যাদেশ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে—এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এতে শাহবাগসহ সংযোগ সড়কগুলোতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

জানা যায়, সকাল থেকেই ঢাকা কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজে মিছিল করেন। তারা স্কুলিং মডেল বাতিল এবং উচ্চমাধ্যমিকের স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রাখার দাবি জানান। পরে পাঁচ কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

আরও পড়ুন: ঢাবি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এরশাদ হালিম সাময়িক বরখাস্ত

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম জানান, স্কুলিং মডেল চালু হলে পাঁচ কলেজেই উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির অস্তিত্ব থাকবে না। “আমরা আগে থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। এই মডেল বাতিলের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে,” বলেন তিনি।

এদিকে, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ জারির দাবিতেও আজ আবার রাস্তায় নামছেন সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ঝুলে থাকা এবং খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশের পরও চূড়ান্ত অগ্রগতি না থাকায় তারা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও টানা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং থেকে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে মতামত গ্রহণের পর তিন দফা বৈঠক হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে এবং অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব পরিহার করে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানানো হয়।