লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবে ৭৩ অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ন, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | আপডেট: ৮:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) ইন লিবিয়া বুধবার তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকা ডুবে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির পর কমপক্ষে ৭৩ জন অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন এবং তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে মহাশক্তিশালী ক্যাটাগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল হ্যারিকেন অ্যারিন

আইওএম আরও জানিয়েছে, নৌকাডুবির পর সাতজন বেঁচে গেছেন এবং তারা দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা থেকে তীরে পৌঁছেছেন। অভিবাসীদের বহনকারী ওই নৌকাটি ত্রিপোলির পূর্বের কাসর আলকায়ার থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল এবং এতে প্রায় ৮০ জন আরোহী ছিলেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এই সংস্থাটি জানিয়েছে, লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট এবং স্থানীয় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া জীবিত সাত অভিবাসীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত আমদানিতে ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি

উল্লেখ্য, উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসীদের উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং গত মঙ্গলবারের ঘটনাটি এর সর্বশেষ উদাহরণ।

২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। আর এরপর থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি প্রধান ট্রানজিট রুট হয়ে উঠেছে।

এছাড়া লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং মানব পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।