চীন বাদে সব দেশের ওপর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১০ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ওপর পালটা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীনের পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি জানান, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হচ্ছে, যা সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সাময়িক নমনীয় হলেও চীনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান আরও কঠোর হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প লিখেছেন, “বিশ্ববাজারের প্রতি চীনের যে অসম্মান, তার ভিত্তিতে আমি ঘোষণা করছি যে, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক এখন থেকে ১২৫ শতাংশ হবে।”

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে ৩০ বছরের কারাদণ্ড

তিনি আরও জানান, সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য পালটা শুল্ক স্থগিত রাখা হলেও এই সময়ে ১০ শতাংশ পালটা শুল্ক কার্যকর থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, “এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের অসাধারণ সাহসের পরিচায়ক। আমরা বিশ্বকে জানিয়েছি—যারা পালটা ব্যবস্থা নেবে না, তারা পুরস্কৃত হবে। আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত।”

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, ট্রাম্প যখন ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন, তখন তিনি এবং বেসেন্ট তার পাশে ছিলেন। তিনি বলেন, “এই পোস্টটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা।”

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে বড়সড় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ডাউ জোন্স সূচক এক লাফে ২,২০০ পয়েন্ট (৫.৯%) বেড়ে যায়। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৬.৫% এবং নাসডাক সূচক ৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের পালটা শুল্ক অভিযানে বাংলাদেশের নামও ছিল। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক চিঠির মাধ্যমে তিন মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধই গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। বিশ্ব রাজনীতিতে এই সিদ্ধান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।