হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০৮ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৩ অপরাহ্ন, ০৮ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সম্প্রতি ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, ইরানের কাছে বর্তমানে দুই থেকে আড়াই হাজার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে ১২ দিনের সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই সংখ্যা আগামী কয়েক বছরে কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।

তবে ইরান সরকার কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। ফলে ইসরায়েলি দাবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় থেকে গেছে। এর মধ্যেই এবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি দেশটির সামরিক সক্ষমতা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা

তিনি ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শহীদ জেনারেল হাজিজাদেহ (আইআরজিসি’র সাবেক অ্যারোস্পেস কমান্ডার) একবার বলেছিলেন, যদি ইরানের সঙ্গে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা যদি দুই বছর ধরে প্রতিদিন তাদের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করি, তাহলে আমাদের মজুদ শেষ হবে না।

জাব্বারি আরও জানান, ইরানের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি বর্তমানে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ প্রতিরক্ষা স্থাপনা এখনও জনসম্মুখে আসেনি। ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও গুদামগুলো এতটাই বিশাল যে এগুলোর বড় অংশ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত, পদক্ষেপ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যদি ইহুদি শত্রু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আমাদের দেশে আক্রমণ করতে চায়, তবে সেটি একটি দর্শনীয় দিন হবে। কারণ, তখন আমাদের সেনাবাহিনী, আইআরজিসি, স্থল ও বিমান বাহিনী তাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে।

গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার জবাবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-থ্রি’ চালু করে ইরান। ওই অভিযানে তেহরান দাবি করে, তারা প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কঠিন জ্বালানি ব্যবহারকারী এই ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত উৎক্ষেপণযোগ্য হওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

এছাড়াও ইরানের অস্ত্রভান্ডারে রয়েছে হোভেইজেহসহ নানা ধরনের আধুনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। আল–জাজিরার সামরিক বিশ্লেষক গ্যাটোপুলোস বলেন, ইরান এখন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিও অর্জন করেছে, যা পশ্চিমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ায়ই তৈরি হয়েছে এবং এগুলোর কার্যকারিতা ক্রমেই বাড়ছে।