পশ্চিম তীর দখল পরিকল্পনায় ইসরায়েলের নিন্দায় ১৫ আরব ও মুসলিম রাষ্ট্র
ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের পশ্চিম তীরে তথাকথিত “ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব” আরোপের দুটি খসড়া আইন অনুমোদনের ঘটনায় ১৫টি আরব ও মুসলিম রাষ্ট্র কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
কাতার, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, জিবুতি, সৌদি আরব, ওমান, গাম্বিয়া, ফিলিস্তিন, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মিশর, নাইজেরিয়া, আরব লীগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) যৌথ বিবৃতিতে একে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে—যেমন দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জনবিন্যাস পরিবর্তন, বসতি স্থাপন ও জেরুজালেমের অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা—তা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (ওঈঔ) পরামর্শমূলক মতামতও ইসরায়েলের এই দখলদারিত্ব ও বসতি নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
একই সঙ্গে তারা স্বাগত জানিয়েছে ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত আইসিজের পরামর্শমূলক মতামতকে, যেখানে আদালত নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েলের মানবিক দায়িত্ব হলো গাজাসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জনগণের মৌলিক জীবনধারণের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন
আদালত আরও উল্লেখ করেছে, গাজায় খাদ্য অবরোধ ও মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখার ঘটনা “ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা”র লঙ্ঘন। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর বা নির্বাসনও আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের একতরফা ও অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করবে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়—ইসরায়েলকে এসব বেআইনি পদক্ষেপ বন্ধে বাধ্য করা হোক এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার নিশ্চিত করা হোক, ১৯৬৭ সালের সীমারেখা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেম রাজধানী করে।





