সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলা, ৮ জনের মৃত্যুদন্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

Sadek Ali
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় প্রবাসী সাইফুলসহ ৮আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।

মৃত্যুদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি এডভোকেট কামাল হোসেন।

আরও পড়ুন: ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

তিনি জানান, মামলায় ৩৪ জন আসামির মধ্যে আজকে আদালত ৮জনের মৃত্যুদন্ড ও ৭জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকিদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে এজাহার নামীয় আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন।

প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে জেল হাজতে রয়েছে। গত ১৩ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ছয় আন্দোলনকারীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট

জানা যায়, ২০২১ সালের ১লা মে সাইফুল ও তার বাহিনী চাউলধনী হাওরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চৈতনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিল গংদের নিজস্ব রেকডীয় ভুমিতে জোর পূর্বক এক্সভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এতে জমির মালিক পক্ষ বাঁধা দিতে চাইলে সশ্রস্ত্র আসামিরা বন্দুক, পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে থানা পুলিশ ও গ্রামে একাধিক বৈঠক করে তাদের উপর হামলা চালায়।

এ সময় বন্দুকের গুলিতে শাহজালাল হাইস্কুলের ১০শ্রেণীর ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর গুলির আঘাতে তার শরীর ঝাঝরা হয়ে যায় এবং হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে। সুমেলের বাবা চাচাসহ ৩ গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামালা (বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-০৪, তারিখ ০৩/০৫/২১ইং, দায়ের করেন)। সিলেটের উপমহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন ও সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এই চাঞ্চল্যকর হত্যার মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

হত্যাকান্ডে সহযোগীতা ও আলামত নষ্ট করার দায়ে ওসি শামিম মুসা ও এসআই নুর ও ফজলুল হককে ক্লোজ করা হয়। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশীট আদালতে দালিখ করেন। মামলায় মোট ২৩জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

মামলার বাদী সিজিল মিয়া আদালতের এ রায়ের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।