‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য প্রয়োজন বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা’

জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এর জন্য জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি জরুরি বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ এর হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: ‘এ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক অধিবেশন পরিচালনার সময় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন
সাবের হোসেন বলেন, অভিযোজন শুধু স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এই লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও
ডায়ালগ পরিচালনার সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র ০.৪৮ শতাংশ। এরপরও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ শিকারের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে। সেজন্য, সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখতে হবে। আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কার করে কালক্ষেপণ করলে ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে: রুহুল কবির রিজভী
এসময় ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সেক্রেটারি সাইমন স্টিল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং ফিলিপাইন ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিশন প্রেসিডেন্টের অফিসের পরিচালক রবার্ট ই. এ. বোর্জে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪’ এর উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। যা চলবে আগামী ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।