নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্ত্রীসহ আতিক মোর্শেদকে দুদকে তলব

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ন, ০১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
আতিক মোর্শেদ। ছবিঃ সংগৃহীত
আতিক মোর্শেদ। ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। স্ত্রীসহ আতিক মোর্দেশকে তলব করেছে দুদক।

আজ রোববার দুদক কর্মকর্তারা নগদের গুলশান অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেন এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

এদিকে নগদে অভিযান চালিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে অসংগতির তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রীর জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তলব করেছে দুদক। সংস্থার মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদ থেকে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ উঠেছে। নগদের কর্মকর্তা না হয়েও সেখানে অফিস করেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানে নিজের স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন তিনি।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন আতিক মোর্শেদ।

ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার নগদ অফিসে গেছেন। সেটিও অফিশিয়াল কাজে। তার স্ত্রী আবেদন করে নিজ যোগ্যতায় নগদে চাকরি পেয়েছেন।

এদিকে গত ৩০ মে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আতিক মোর্শেদ ভুয়া বিল-ভাউচারে নগদ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাশাপাশি ওই পোস্টে তার স্ত্রীর নগদে মেধা ও যোগ্যতার বলে চাকরি পেয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি। তাকে প্রচণ্ড রকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি।’