মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের কারণ জানা গেল: পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি দায়ী

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৬ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটিকে দায়ী করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। এর আগে তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

প্রেস সচিব বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ চলাকালে পাইলটের উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর ফলেই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে পাইলট ত্রুটিজনিত।”

তিনি জানান, তদন্ত কমিটি মোট ১৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা ছিলেন। সব তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিটি ১৬৮টি তথ্য ও ৩৩টি সুপারিশ করেছে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

প্রতিবেদনের প্রধান সুপারিশে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে বিমানবাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঢাকার বাইরে পরিচালিত হবে। এছাড়া বরিশাল ও বগুড়ার রানওয়ে সম্প্রসারণেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনটি রাজউকের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অনুমোদিত ছিল না। যেখানে ন্যূনতম তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা, সেখানে মাত্র একটি সিঁড়ি ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনটি সিঁড়ি থাকলে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতে পারত।

এছাড়া ভবিষ্যতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণে রাজউকের বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে প্রশিক্ষণ চলাকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ৩৬ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হন।