নরসিংদীর পথে ঘাটে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী

Abid Rayhan Jaki
শরীফ ইকবাল রাসেল, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ন, ১৭ মে ২০২৪ | আপডেট: ৪:৩২ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নরসিংদীর হাটে-ঘাটে, মাঠে ময়দানে এমনকি ছোট বড় মেলায় প্রকাশ্যেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। আর এসব প্রসাধনী ব্যবহারে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন, বিএসটিআই ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহারে স্কীনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দেন।

নিজেকে শ্রীবৃদ্ধি ও রুপ লাবন্য তৈরী করতে কে না চায়? বিশেষ করে নারীরা। এরজন্য দেশী-বিদেশী প্রসাধনী ব্যবহার করেই অনেকে নিজেকে লাবন্যে ভরিয়ে তুলেন। আবার সেই প্রসাধনী গুলো যদি হয় নিন্মমানের, তাহলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তেমনি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে নরসিংদীর বিভিন্ন পথে ঘাটে।  নরসিংদীর বিভিন্ন হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের মেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। কোন প্রকার প্রশিক্ষণ বা বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়া ছাড়াই বাসায় বসে নিজেরাই তৈরী করেন এসব প্রসাধনী। এর কোনটা বোতলজাত, আবার কোনটা প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। উদ্যোক্তাদের তৈরী প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে মাথার তৈল, মূখের ব্রন পরিস্কার করার ক্রীম, মাথা ঠান্ডার তৈল, বিভিন্ন রকমের মেহেদী ও গোসলের সাবানসহ হরেক রকম প্রসাধনী। এসব পণ্যের গায়ে নেই কোনো উৎপাদন বা মেয়াধউর্ত্তীনের তারিখ। নেই কোন পণ্যের মূল্যও। এরপরও প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে এসব প্রসাধনী। বিষয়টি নিয়ে কারো নেই নজরদারী।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল

তবে উদ্যোক্তাদের দাবী এসব পণ্য কোন ক্ষতি করেনা। আবার অনেকেই বলছেন মানসম্মত প্রসাধনী অবশ্যই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। আর এসব মানহীন অনুমতিবিহীন প্রসাধনী জেনে-না জেনে মানবদেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর বলে দাবী অনেকের।

নরসিংদী সিভিল সার্জন ফারহানা আহমেদ জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া কোন প্রধান প্রসাধনী বা ক্যামিকেল পরীক্ষা ছাড়া ব্যবহার ঠিক নয়। আর অনুমোদন এসব পণ্য ছাড়া বাজারে বিক্রি দন্ডনীয়। এটা ব্যবহারে স্কিন ক্যন্সার, এলার্জিসহ চর্মজাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে বড়ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তাই বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

সরকারী অনুমোদন বিহীন শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও মানহীন এসব প্রসাধনী বাজারে বিক্রির বিষয়ে প্রশাসনকে নজর দেয়ার দাবী সচেতন মহলের।