ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরে আটক সঞ্জীব 'রহস্যজনক ব্যক্তি' প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করতো

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর সন্দেহে আটক যুবক সঞ্জীবের আচরণ রহস্যজনক। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে তার ঠিকানা সনাক্ত করা হলেও পরিবার বলছে তার সাথে পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই দীর্ঘদিন ধরে। সে চার বছর ভারতে অবস্থান করে ফিরে আসে। তাই সে ভারত যাতায়াত করত। পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ না করে রহস্যজনক আচরণ করত।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর. রাত ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন ভাংগা বাজারস্থ হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মিতব্য প্রতিমা কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এরুপ সংবাদ গত ১৫/০৯/২০২৪ খ্রি. সকালে পেয়ে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখেন, হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা হয়েছে।তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীর নেতৃবৃন্দের সহিত মতবিনিময় কালে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। ঘটনার বিষয়ে তদন্তকালে কালি মন্দিরের সামনে পরিত্যক্ত খাটের উপর শয়নরত অবস্থায় ১জন ও খাটের পাশে মাটিতে আরেকজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। জিজ্ঞাসাবাদে ১ জনকে (বৃদ্ধ ব্যক্তি) স্থানীয়রা পরিচিত বলে সনাক্ত করেন। অপর ব্যক্তিকে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নাম-পরিচয় না জানালে তার উপর সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানায় এনে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ কালে একবার বাংলা এবং একবার হিন্দি ভাষায় কথা বলে, তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস(৪৫), পিতা-নিশিকান্ত বিশ্বাস, সাং-নদীয়া এবং ভারতীয় নাগরিক বলে জানায়।গ্রেফতারকৃত সঞ্জিত বিশ্বাস’কে (৪৫) ভাংগা থানার জিডি নং-৬১৮, তাং-১৫/০৯/২০২৪ খ্রি. ফৌঃকাঃবিঃ ১৫১ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এখনও পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় আউশ ধানের ভালো ফলন, দ্বিগুণেরও বেশি জমিতে আবাদ
উপরোল্লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি গত ১৬/০৯/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাও মিডিয়াতে প্রকাশিত হলে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) এর পিতানিশিকান্ত বিশ্বাস(৭২)ফরিদপুর জেলা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানান যে, আটককৃত ব্যক্তি তার ছেলে। তার প্রকৃত নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), পিতা-নিশিকান্ত বিশ্বাস, সাং-নিজামকান্দী, থানা-কাশিয়ানি, জেলা-গোপালগঞ্জ।তার পিতা জানান যে, তার ছেলে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) মানসিকভাবে অসুস্থ, প্রায় ২৪/২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেকদিন ছিলেন পরবর্তীতে দেশে ফিরেন।তিনিপ্রায় ৪ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন, আর বাড়িতে ফিরে আসেননি এবং পরিবারের সাথে তার কোন যোগাযোগ নাই। তিনি প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করতেন বলে জানা যায়।