শহর বিএনপি'র কর্মী সমাবেশে-বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়াই বেশি নির্যাতিত

AK Azad
নব চন্দ্র (সূর্য্য), বগুড়াঃ
প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ১২:২৪ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়ায় আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে শহর বিএনপি'র উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন শহর বিএনপি'র সভাপতি এ্যাড.হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি’র সঞ্চালনায় উক্ত কর্মী সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বগুড়া জেলা বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে নির্যাতিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা পেয়েছি। মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সাথে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে দেশে ফিরতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বিদেশে যেতে রাজি হন নাই। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টা ডা. ইউনুসকে যৌতিক সময় দিতে চাই। দ্রুত সংস্কার শেষে করে নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগনের সরকার ছাড়া সব সংস্কার সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার দেশের মানুষের বাক স্বাধীনাতা বন্ধ করে দেশে আইনের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশের সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতা বন্ধ করেছে। শেখ হাসিনা অহংকার করে বলেছিল ৪১সাল পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবে। আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে।

অপরদিকে বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন বগুড়ায় আজও অনেক সন্ত্রাসীরা ঘোরা-ফেরা করছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

এছাড়াও অনান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপি'র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চান, আহসানুল তৈয়ব জাকির, এমআর ইসলাম স্বাধীন, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, এ্যাড.আব্দুল বাছেদ, শহীদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, জেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সরকার মুকুল, রাকিবুল ইসলাম শুভ, মহিলা দলের নাজমা আক্তার, জেলা ছাত্রদলের হাবিবুর রশিদ সন্ধান, এমআর হাসান পলাশ প্রমূখ।