চলা চলের রাস্তায় বেড়া নির্মাণ

একসপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ বৃদ্ধ কাজল মিয়ার পরিবার

AK Azad
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ন, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩২ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজঘর গ্রামের এক পরিবার একসপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটির ওপর বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশী। ফলে নিজ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না রাজঘর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া ও তার পরিবার।

সরজমিনে প্রত্যক্ষ করে দেখা গেছে কাজল মিয়ার বাড়ির সামনে পুকুর ও পুকুরের  প্রশস্ততা হলো ২০ ফুট বর্তমানে  পুকুরে দাঁড় ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে পারাপারের রাস্তাটি চার ফুট বিদ্যমান আছে এবং মূল সড়কের সাথে গিয়ে মিশেছে। এই সড়কে যাওয়ার আগে অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছেন একসপ্তাহ যাবত। ফলে নিজের চিকিৎসাসহ পরিবারের অন্যান্য প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তারা মানবতারে কাটাচ্ছেন প্রতিদিন।

কাজল মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- প্রায় বছরখানেক যাবত প্রতিবেশী মৃত নাজির হোসেনের ছেলে মাহবুব শরীফ , লিটন কাউসার মিয়া ও তার ছেলে ফাহিম প্রতিদিনের চলাচলের রাস্তাটি জোরপূর্বক বন্ধ করে। রাস্তা বন্ধ করেই শেষ হয়নি সবসময় দেয় মানসিক নির্যাতন ও হুমকি। চাঁদা দাবি করে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে এইদিকে একাধিক মামলার আসামি প্রভাবশালী মাহবুব শরীফ কাজল মিয়া কে, টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। বিভিন্ন সময় কাজল মিয়া রাস্তাটি নিজ উদ্যোগে বাঁধার জন্য চেষ্টা করে, কিন্তু শরীফের নেতৃত্বে তাকে এই কাজে বাধা প্রদান করে।

কাজল মিয়া সদর থানায় বেশ কিছুদিন আগে একটি অভিযোগ দায়ের করায় অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন, উক্ত ঘটনাস্থলে উক্ত বিটের বিট অফিসার আব্দুর রহিম কে পাঠান তখন জায়গাটি পুনরায় মেপে দেখা যায় যে কাজল মিয়া তার নিজ জায়গা ছাড়িয়ে তার সীমানা প্রাচীর করে, তখন শরীফ গংরা কিছু বলেনি, নতুনভাবে শুরু করে আবার মানসিক নির্যাতন বিভিন্ন সময় লোকজন জড়ো করে সীমানা প্রাচীর ভাঙতে চেষ্টা করে, তারপর গত এক সপ্তাহ আগে যাতায়াতের রাস্তাযটি বাঁশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেয়।

উল্লেখ্য যে, উল্লেখ্য যে মাহবুব শরীফের নেতৃত্বে এই অসহায় ফ্যামিলিটির উপর বারবার চলছে নির্যাতন গতকাল ১৩ জানুয়ারি ট্রিপল নাইনে ফোন করে সদর থানা থেকে পুলিশ এসে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ চলে গেলে তারা আবার বেড়া  দেয়।

এই নির্মম অবস্থার মধ্যেই দিনা নিপাত করছেন বৃদ্ধ কাজল মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।