নান্দাইলে বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, আহত ১২

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপি নেতা ইয়াসের খানের নেতৃত্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ বিএনপি'র কর্মীরা।
জানা গেছে, গত ১৬ দিন ধরে চলা আন্দোলনে আজ ২ মার্চ নব গঠিত কমিটির সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বাহির থেকে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে ভোররাত ৪ টায় ইয়াসের খান নান্দাইলে নিজ বাড়িতে আসেন সংবর্ধনা নেবার জন্য। তার প্রতিবাদে সংক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সাধারণ কর্মীদের উপর গুলি ছোড়ে। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ১২ জন গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজ বাড়িতে মসজিদের মিনারে দাঁড়িয়ে তাড়াহুড়ো করে সংবর্ধনার নামে প্রহসন করে নিজ বাড়ি ছেড়ে চলে যান ইয়াসের খান।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, বাহির থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে সাধারণ মানুষের উপর এরকম নিপীড়ন নান্দাইলের ইতিহাসে এই প্রথম। নান্দাইলের বিএনপির নেতাকর্মীরা ও সাধারণ জনগণ এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলায় ১২ জন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে একজনকে কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১২ কমিটির মূল সমস্যা হলো কোনো সম্মেলন কিংবা কর্মী সভা হয়নি। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী নেতা কর্মীদের স্থান না দেয়া এবং অবমাননা করা। আওয়ামী দোসর, টোকাই ও অযোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা।
এতে সাধারণ নেতাকর্মীরা খুবই সংক্ষুব্ধ। এটা তাদের অস্তিত্বের লড়াই, তাদের অপমানের বিরুদ্ধে লড়াই। নতুন কমিটি গত ১৬দিনে নান্দাইলে একটা আনন্দ মিছিল করতে পারেনি। নতুন আহ্বায়ক ইয়াসের খানের বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় নেতারা জানান, ১১০ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ১৯ জন। বয়োবৃদ্ধ ও নিষ্ক্রিয় ১১জন। ডাবল নাম আছে তিন জনের। অন্য উপজেলার বাসিন্দা একজন। উপজেলার বাহিরে অন্যত্র বসবাস করেন তিনজন। অপরিচিত দুই জন।
এছাড়া নান্দাইল পৌর বিএনপির ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে আওয়ামী লীগ ও দোসর চার জন। বয়োবৃদ্ধ ও নিষ্ক্রিয় একজন। অপরিচিত একজন।
তারা আর জানান, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য জনক হলো রাজপথে সক্রিয়, ত্যাগী, মামলা হামলায় জর্জরিত অধিকাংশ নেতৃবৃন্দকে উক্ত কমিটিতে রাখা হয়নি। কমিটিতে যাদের স্থান দেয়া হয়েছে তাদেরকেও অবমূল্যায়িত অবস্থানে রাখা হয়েছে।