চাঁদাবাজি মদ নারী নিয়ে বেপরোয়া ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নান্টু

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ন, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১১:১১ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নান্টুর মদ্যপ অবস্থায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সাঘাটা–ফুলছড়ি গাইবান্ধা আসনের সাধারণ জনগণের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ০৫ আগস্টের পর বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে নজরুল ইসলাম নান্টু এবং ফারুক মিয়াসহ যুবদলের বর্তমান মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির নেতারা। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না চরবেষ্টিত উপজেলার মুচি দোকান পর্যন্ত। পটপরিবর্তনের পরপরই আওয়ামী ফ্যাসিষ্টের সুবিধাভোগী এবং সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে যোগদান কারী নাহিদুজ্জামান নিশাদের টাকায় নদী থেকে বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলন ব্যবসা শুরু করে যুবদলের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নান্টু এবং সদস্যসচিব ফারুক মিয়া। কথিত আছে ফারুক কন্চিপাড়া বাজারে মুচি দোকান থেকে দৈনন্দিন ৫০ টাকা করে নেয়।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে কমেন্ট করা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

নান্টু ও ফারুকের প্রশ্রয়দাতা নব্য বিএনপি নেতা নিশাদ দলে যোগদান করার পর থেকেই সাঘাটা-ফুলছড়ি বিএনপি তে ব্যাপক হারে দলীয় কোন্দলও দেখা দিয়েছে। নিশাদ অর্থের বিনিময়ে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির মঈন প্রধান লাবু, আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের শাহীন, ছাত্রদলের মৃদুল সহ নেশাখোর গ্রুপ কে কাজে লাগিয়ে সাঘাটা উপজেলা বিএনপি এবং সাদেকুল ইসলাম নান্নু, নজরুল ইসলাম নান্টু, ফারুক, লিংকন, পাভেল, বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আলমাস সহ ফুলছড়ি উপজেলার চিহ্নিত নেশাখোর গ্রুপ কে অর্থ দিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি অস্থির করে রেখেছে।

নাহিদুজ্জামান নিশাদ এর আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুলছড়ি থেকে নান্টু-ফারুক-লিংকন তাদের কিছু সহযোগী। সাঘাটা থেকে লাবু-আজাদ-মৃদুলসহ একটি চক্র চাঁদাবাজি করছে। যাতে করে ব্যাপক হারে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা।নান্টুর  জঘন্য কার্যক্রমের বিচার চেয়ে ফেসবুক অন্তত ১০০ জন ত্যাগী নেতাকর্মী পোস্ট দিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিজিবির হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো আহত হাতির চিকিৎসায় গিয়ে গুরুতর আহত ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনকে

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নান্টু বলেন কিছু বিপথগামী কর্মীর জন্য দরের ক্ষতি হচ্ছে।জেলা যুবদলের সভাপতি রাগী হাসান বলেন এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদন্নবী টিটুল বলেন দলের জন্য ক্ষতিকর কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়।