কেন্দুয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মাছ নিধনের অভিযোগ

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে একপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ফিসারিতে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ডাউকি গ্রামের তাজুল ইসলাম ও রুকন উদ্দিন ভূইয়ার পক্ষের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ডাউকি জামে মসজিদের রাস্তা পরিবর্তন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ২২ জুন সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। গুরুতর আহত রুকন উদ্দিন ভূইয়া, যিনি সান্দিকোণা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
এ ঘটনার পরদিন রুকন ভূইয়ার মেয়ে বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় তাজুল ইসলামসহ আটজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন রাতেই অভিযোগ রয়েছে যে, রুকন গংরা তাজুল গংদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরের ভেতরে ভাংচুর, লুটপাট ও মহিলাদের মারধর করে। এমনকি দুটি ফিসারিতে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকার শিং মাছ নিধন করে বলে দাবি করেন ফিসারির মালিক পলাতক তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে
তাজুল ইসলাম জানান, মসজিদের নতুন জায়গা নিয়ে আমি গ্রামবাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। আগের রাস্তা পরিবর্তনের কারণে চলাচলের সুবিধার জন্য আমি বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছি। মূল বিরোধ এ নিয়েই।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পুরাতন বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মাছ নিধন বা লুটপাটের বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।