আল বদর বাহিনী ধর্মকে বিক্রি করছে, বিএনপি বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেয় না: আমিনুল হক

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বলেছেন, “আল বদর বাহিনী ধর্মের নামে ধর্মকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা সকালে এক কথা বলে, বিকেলে আরেক কথা বলে। যাদের দিনের শুরু হয় মিথ্যাচার দিয়ে, তারা দেশের জনগণের খেদমত করবে কীভাবে?”
তিনি আরও বলেন, “আবার নতুন আরও একটি দল আসছে, তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের উদ্ধত আচরণ, দাম্ভিকতা, চাঁদাবাজি ও দখলদারি কার্যকলাপের কারণে জনগণই তাদের জবাব দেবে।”
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি কাবাডি প্রতিযোগিতা সমাপ্ত, চ্যাম্পিয়ন কক্সবাজার ঘাঁটি দল
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পশ্চিম রূপনগর থানা ছাত্রদলের কর্মীসভা ২০২৫-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
দলীয় শৃঙ্খলা ও সতর্কতার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, “এই বিষয়গুলোতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা সব সময় বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। বিএনপি কোনো দখলবাজ, চাঁদাবাজ বা অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেয় না।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড অফিসার্স এসোসিয়েশন নির্বাচন, সভাপতি মোহাম্মদ বায়েজীদ ভূঞা
তিনি বিএনপিকে একটি পরিবার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনই এক পরিবার। আমরা জিয়া পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের হাতে যে সংগঠন গড়ে তুলেছেন, আমরা সেটি শক্তিশালী করতে চাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনোই কোনো স্বৈরাচারের সঙ্গে আপোষ করেননি, আর আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান সবসময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে তিনি মিথ্যা মামলায় জর্জরিত ও নির্যাতিত হয়েছেন।”
জিয়া পরিবারের অবদান ও ত্যাগ উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। তারপরও তারা কখনো অন্যায় বা ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয়নি। সব সময় গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও ভোটের মর্যাদার কথা বলেছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—তারা সম্মুখ সারিতে থেকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।”
সভায় ছাত্রদল ও বিএনপির স্থানীয় ও মহানগরীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।