বর্ষায় ঠোঁটের যত্ন

আমাদের ঠোঁট স্পর্শকাতর নরম সংবেদনশীল অঙ্গ। শুধু শীতে নয় বর্ষার সময়েও ত্বক কিছুটা রুক্ষ ও মলিন হয়ে পড়ে, ঠোঁটও এর ব্যাতিক্রম নয়। আমরা মুখের ত্বকের দিকে গুরুত্ব দিলেও ঠোঁটের দিকে খুব একটা মনযোগ দেই না। ফলে ঠোঁট দেখতে কিছুটা কালচে ও রুক্ষ লাগে। তাই এই বর্ষার সময়ে পরিবেশ যতই আর্দ্র থাকুন ঠোঁটের জন্য আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয়।
সান প্রোটেকশন ব্যবহার
আরও পড়ুন: ১০টি কাজ যা আত্মবিশ্বাসী মানুষরা কখনোই করে না
আকাশ মেঘলা বা বৃষ্টি হলেও বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সান ব্লক ব্যবহার করতে হবে।
টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের স্কিনসেল্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা শিভাম চাকরালা বলেন, “মনে রাখবেন সানব্লক কেবল মুখের জন্য না, ঠোঁটের জন্যও। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মুখের ত্বকের মতো ঠোঁটের ত্বকেরও ক্ষতি করে থাকে।।”
আরও পড়ুন: ঘরেই তৈরি করুন সুস্বাদু ফুলকপির বড়া
ঠোঁট মালিশ করা
চাকরালা বলেন, “ঠোঁটের সুস্বাস্থ্যের জন্য তা মালিশ করা প্রয়োজন। মাখন, জোজোবা ক্রিম বা জলপাইয়ের তেল দিয়ে ঠোঁট আলতোভাবে মালিশ করে নিন। এতে ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও প্রাকৃতিকভাবে গোলাপিভাব আনে।”
ঠোঁট স্ক্রাব করা
ঠোঁটে মৃত কোষ জমে থাকলে দেখতে রুক্ষ ও খসখসে লাগে। তাই মৃত কোষ দূর করতে ঠোঁট নিয়মিত স্ক্রাব করা প্রয়োজন। চাকরালা পরামর্শ দেন, ঠোঁট স্ক্রাব করতে হবে আলতোভাবে এবং এরপরে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষার জন্য ভ্যাসলিন বা অন্য কোনো উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও দেহের আর্দ্রতা রক্ষায় পানি পানের বিকল্প নেই। এটা দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয় এবং ঠোঁট মসৃণ ও কোমল রাখে।
চাকরালা আরও বলেন, “ভিটামিন এ, বি, ডি, ই এবং এসেনশল ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং অক্সিডেটিভ ক্ষয় কমে।” এতে ঠোঁট মসৃণ, কোমল ও সতেজ থাকে।
দেহের মতো ঠোঁটও পানির অভাবে শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান আবশ্যক। পানির চাহিদা পূরণে ভেষজ চা, ফলের রস, নানান জলীয় ফল যেমন- শসা, তরমুজ ও আঙুর খাওয়া যেতে পারে।
সূত্র: টাইমসঅফইন্ডিয়া