নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার
অবশেষে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষকদের টানা ১৭ দিন আন্দোলনের পর শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ।
বুধবার (১২ মার্চ) থেকে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। সরকারের আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন শিক্ষকরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞা।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিম মিঞা বলেন, আমরা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও আন্দোলন চালিয়ে আসছিলাম। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা দেশের সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিই। কিন্তু সরকার সাড়া না দেওয়ায় ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ১৭ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আন্দোলন চলাকালে দুজন নন-এমপিও শিক্ষক অর্থকষ্টে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের জন্য পদযাত্রা করলে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য
আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং একজন যুগ্ম সচিব অংশ নেন। অন্যদিকে, নন-এমপিওদের পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়, যার নেতৃত্ব দেন সেলিম মিঞা।
সেলিম মিঞা জানান, 'বৈঠকে শিক্ষা সচিব আমাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে গ্রহণ করেন। আলোচনার সময় সরকার নীতিগতভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব সচল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। আজ থেকেই প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং আগামী মে মাসের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।'
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বেতনহীন থাকা শিক্ষকদের জন্য নতুন আশার দ্বার উন্মুক্ত হলো।





