চাপের মুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫২ পূর্বাহ্ন, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, এখন তা স্থগিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকনেতারা।

শিক্ষক নেতা ও প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনুর আল আমিন জানিয়েছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক কল্যাণকে বিবেচনায় রেখে এ দল পরীক্ষার মধ্যবর্তী বিরতি না দিলে শাটডাউনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

এরপর প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ১৬ জন আহ্বায়কের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি (কমপ্লিট শাটডাউন) পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) পুনরায় শুরু হবে। পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে উভয় সংগঠন যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য

বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি এবং শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন।

এই দাবিতে শিক্ষকরা অর্জন করতে চাচ্ছেন —

* সহকারী শিক্ষককে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা,

* চাকরিতে ১০ ও ১৬ বছরের পূর্তিতে উচ্চ গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করা,

* সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।

গত ২৭ নভেম্বর থেকে এই দাবিতে কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল। এরপর সোমবার তারা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে এবং বুধবার থেকে দেশব্যাপী শাটডাউন কার্যকর করে।

কিন্তু কর্মসূচির ফলে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও মূল্যায়নে বিঘ্ন তৈরি হয়। অনেক বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল; কোথাও প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষা চালানো হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মান ও মূল্যায়ন নিয়ে শঙ্কা ছিল।

প্রশাসনও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেক শিক্ষককে বদলি করে দিয়েছে।

যেমন পরিস্থিতিতে, শিক্ষক নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—পরীক্ষার স্বার্থে শাটডাউন বন্ধ করে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।