ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ পাকিস্তানের আরও কাছে, করাচিতে সতর্কতা

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ন, ১২ জুন ২০২৩ | আপডেট: ৯:২১ পূর্বাহ্ন, ১২ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ পাকিস্তানের বেশ কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আঘাতের আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে করাচি। তারা পদক্ষেপ হিসেবে সমুদ সৈকতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি ইতোমধ্যেই ‘অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হয়ে পাকিস্তানের উপকূল থেকে বর্তমানে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে ৩০ বছরের কারাদণ্ড

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন সোমবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে জানায়, এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপকূলীয় শহর করাচিতে ব্যাপক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপর্যয় ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিয়েছে এবং উপকূলীয় শহর করাচি থেকে এটি বর্তমানে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও সাধারণ মানুষকে উন্মুক্ত সমুদ্রে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য সোমবার করাচির সিভিউ রোডটি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পিএমডির জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি ‘গত ১২ ঘণ্টায় আরও উত্তর দিকে সরে গেছে’ এবং বর্তমানে এটি করাচি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, থাটা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওরমারা থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, আগামী ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত ঝড়টি সম্ভবত আরও উত্তর দিকে সরতে থাকবে তারপর উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে। আগামী ১৫ জুন দক্ষিণ-পূর্ব সিন্ধুর কেটি বন্দর এবং ভারতীয় গুজরাট উপকূলের ওপর দিয়ে ‘অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়’ হিসাবে অতিক্রম করবে।

উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের সতর্ক করে দেওয়া বার্তায় পিএমডি বলেছে, থাটা, সুজাওয়াল, বাদিন, থারপাকার এবং উমেরকোট জেলায় আগামী ১৩-১৭ জুন পর্যন্ত ‘বিস্তৃত বাতাস-ধুলা, বজ্রঝড় বৃষ্টির সাথে অতিভারী বর্ষণ এবং এর পাশাপাশি ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে’।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিটার উঁচু ঢেউ উঠতে পারে। এ জন্য আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পিএমডি।

স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।