আত্মসমর্পণ করল সোমালিয়ার ৩৫ জলদস্যু, উদ্ধার ১৭ নাবিক

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৭ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ৫:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৭ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ থেকে ১৭ নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ঐ সময় আত্মসমর্পণও করেছে ৩৫ জলদস্যু। 

শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি জাহাজের ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়। 

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, মাল্টার পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনে থাকা ৩৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। আর জাহাজটি অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত, পদক্ষেপ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

এই জাহাজটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে কার্গো জাহাজ ছিনতাই করা হয়েছে, তার জন্য এ জাহাজটিকে জলদস্যুরা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এসআর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর পর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।

জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম। এছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।