গাজায় নিহত আরও ৯৩, প্রাণহানি ছাড়াল ৩১৮০০

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৩১ হাজার ৮০০ জন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নৃশংস আগ্রাসনে এখন অন্তত ৩১ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার এই মন্ত্রণালয় এমন এক সময়ে এই বিবৃতি দিয়ে প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে যখন গাজায় ১৬৫ তম দিনের মতো মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। চলমান হামলায় আরও ৭৩ হাজার ৯৩৪ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের অভিযানে অংশ নেওয়া পাইলটদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক দিলো পাকিস্তান
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে ৯৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার ভোরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এর মধ্যে মিসরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন মারা গেছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।