গাজায় ইসরায়েলের ফের বিমান হামলা, যুদ্ধবিরতি আবারও অনিশ্চিত
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বেইত লাহিয়া এলাকায় এই হামলা চালানো হয় — এমন সময় যখন ইসরায়েল দাবি করেছিল যে তারা আবারও যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে।
আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এমন অবস্থায় শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘হাতছাড়া না করতে’ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন
আল-শিফা হাসপাতাল জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল এমন একটি স্থাপনা যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং যা “তাৎক্ষণিক হুমকি” তৈরি করেছিল ইসরায়েলি সেনাদের জন্য।
এই হামলার ফলে গাজার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, যা মঙ্গলবার রাতে সবচেয়ে ভয়াবহ বোমাবর্ষণের পর থেকেই টালমাটাল অবস্থায় ছিল।
মঙ্গলবার রাফাহ অঞ্চলে একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রবল প্রতিশোধমূলক হামলার নির্দেশ দেন। ওই হামলায় অন্তত ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল জানায়, তারা হামাসের সিনিয়র কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। এর পরদিন, বুধবার দুপুরে, তারা আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ঘোষণা দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো ঝুঁকিতে নেই।
অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যু ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য। তিনি সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখার আহ্বান জানান।
হামাস জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা রাফাহে ইসরায়েলি সেনা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় এবং তারা এখনো যুদ্ধবিরতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে তারা বলেছে, ইসরায়েলের নতুন হামলার কারণে বন্দি ইসরায়েলিদের মৃতদেহ হস্তান্তর সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
হামাস সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের যেকোনো “নতুন আগ্রাসন” বন্দিদের সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত করবে।
এদিকে ইসরায়েল রেড ক্রসকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের দেখা করতে নিষেধ করেছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো জানিয়েছে।
বিশ্ব নেতাদের সংগঠন ‘দ্য এল্ডারস’ বুধবার এক বিবৃতিতে দীর্ঘদিন আটক থাকা ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারঘুতির মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, বারঘুতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে ছিলেন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।





