২০২৫ সালের শুরু থেকে যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন: রাশিয়া

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন। এত বিপুল ক্ষতি নিকট ভবিষ্যতে পূরণ করা কিয়েভের পক্ষে প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে মস্কো।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলৌসোভ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ দাবি করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশন (আরটি) জানায়, বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার তেলকে নিজেদের সম্পদ দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে বেলৌসোভ বলেন, “২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এই বিপুল প্রাণহানির কারণে অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পুনর্গঠন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।” তিনি আরও জানান, সেনা হতাহতের কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যেও সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান নিয়ে অনীহা বাড়ছে।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, চলতি বছর ইউক্রেন এক লাখ তিন হাজারের বেশি সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে, যেগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: শিশু নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ: গ্র্যান্ড মসজিদে চালু হলো পরিচয় ব্রেসলেট

উল্লেখ্য, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা ঘিরে কয়েক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ডিক্রির মাধ্যমে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

প্রথমদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। তবে গত বছর তা কমিয়ে ২৫ বছরে নামানো হয়। এদিকে বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ নিয়ে জোরপূর্বক আচরণের অভিযোগে গত এক বছরে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ জনগণ ও সেনা সমাবেশ কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

তবে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।