বিজয় দিবসে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৩ অপরাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

মহান বিজয় দিবসকে আরও মর্যাদাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প এবং বিশেষ এ্যারোবেটিক প্রদর্শনী। একইসঙ্গে তিন বাহিনীর সমন্বয়ে একটি ব্যান্ড পরিবেশনও অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীতে অনারারী কমিশন প্রদান

এ উপলক্ষে ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সশস্ত্র বাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল বাদ্য পরিবেশন করে। এছাড়া রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস ও সামরিক ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকাতেও সীমিত পরিসরে ব্যান্ড পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রাম শহর ও ফৌজদারহাট এলাকা, কক্সবাজার এবং মাতারবাড়ীতে সীমিত আকারে ফ্লাই পাস্ট পরিচালিত হয়।

আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

বিজয়ের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুর রহমানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ৫৩ জন সদস্য মিলিয়ে মোট ৫৪ জন প্যারাট্রুপার জাতীয় পতাকা হাতে ফ্রি ফল জাম্পের মাধ্যমে আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণ করেন। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক জাতীয় পতাকা হাতে ফ্রি ফল জাম্পের ঘটনা। সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ উদ্যোগটি সফল হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই আয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে জাতীয় গৌরব ও আত্মপরিচয়ের অনুভূতি জাগ্রত করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ বিভিন্ন স্তরের আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিভিন্ন বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজসমূহ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। একইসঙ্গে সামরিক জাদুঘরসহ তিন বাহিনীর অন্যান্য জাদুঘর বিনা টিকিটে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়।