রংপুর সিটি নির্বাচনে থাকবে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক টিম
আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক টিম তদারকি করবে। এজন্য দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই টিম নির্বাচনী পরিস্থিতি ও আচরণবিধি প্রতিপালন নিয়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে সিএমপির ১৬ থানার ওসি রদবদল
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেনকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং ওই নিরপেক্ষতা যাতে জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয় তা নিশ্চিত করতে রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে। ওই টিমে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদেরও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১২০ চিকিৎসকসহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি
জেলা নির্বাচন অফিসার টিমের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। টিমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্বাচনী এলাকার ব্যাপ্তি বিবেচনায় প্রয়োজনে একাধিক ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে।
ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের কার্যাবলী
- ১. সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি না অথবা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন।
- ২. নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধিতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে কি না বা অন্যান্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন।
- ৩. আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ; অন্যান্য নির্বাচনী বিধি-নিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারি আদালতেও অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
- ৪. এছাড়াও স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর তিনদিন পরপর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ; টিমকে প্রয়োজনে উদ্ভূত সমস্যাবলি তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের পরামর্শ দিতে হবে।
- ৫. প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গ করলে বা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বা বিধিমালার কোনো বিধি বিশেষ করে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। অন্যদিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালতকেও তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
রসিক ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর), মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৪ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৭ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর। সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।





