সবুজ বিনিয়োগ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে। দেশের অর্থনীতির এই অগ্রগতির ফলে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন আমাদের সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি আজ আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত "সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস" সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক মানবতা ও সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারবো না। তাই আমাদের মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সাথে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের Rb¨ অপরিহার্য। সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনারের একযোগে বদলি
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সাথে ভোগব্যয় বেড়েছে। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। সঠিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও আমরা জ্বালানির উৎস পেতে পারি।
এ সময় তিনি জানান, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)-র চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা।