বিএনপির আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না: শাজাহান খান

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ন, ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | আপডেট: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, ০৮ এপ্রিল ২০২৩
শাজাহান খান
শাজাহান খান

মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপি আমলে জনগণের বাক স্বাধীনতা ছিল না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না। সেই বিএনপি বর্তমানে বাক স্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আগে  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব ষংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

শাজাহান খান বলেন, বিএনপি বর্তমানে বাক স্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে তারা গণতন্ত্রের জিগির তুলে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস করে। শত শত মানুষকে হত্যা করে, পুড়িয়ে-কুপিয়ে মারে। তারা এভাবে শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষতে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিজয় লাভ করে বাড়ি ফেরার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেয়নি, বিজয় তো দূরের কথা, মাথা নিচু করে তাকে বাড়ি ফিরতে বাধ্য করে।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশ নেনে। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আপনারা অংশ নিয়ে জনগণের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসুন। অন্য কোনভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ নেই: ড. ইউনূস

তিনি বলেন, এ জাতীয় সংসদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া, তার স্মৃতি ধন্য। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছিল তাদের এই সংসদে এনে বসিয়েছিলেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেলেন যাদের হাত বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত। বিএনপি এভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এই সংসদে এনে পবিত্র সংসদকে অপবিত্র-কুলষিত করেছিল।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন অপ্রতিরোধ্য মহামানব, তিনি সাচ্চা দেশপ্রেমিক, বাঙালি জাতির হৃদপিণ্ড। তিনি অকুতভয় সৈনিক, তিনি দানবীর, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিই হতেন বিশ্বের অবহেলিত, মেহনতি মানবতার মূর্ত প্রতীক। যা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও বলেছিলেন।