বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। বহিঃনিরীক্ষকের অডিটে বিভিন্ন অনিয়ম-জালিয়াতিতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার (৬ মার্চ) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। বিভিন্ন উপায়ে শুধু এই ব্যাংক থেকে তারা ৯১ হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্য উঠে এসেছে ব্যাংকের নিরীক্ষায়। এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয়ার পর ব্যাংকটিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেন মনিরুল মওলা। দ্রুততার সঙ্গে তাকে পদোন্নতি দিয়ে প্রথমে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
ব্যাংকটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক একসময় দেশসেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল। এখন ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর পেছনে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের অন্যতম এমডি মুনিরুল মওলা। তার বাড়ি চট্টগ্রামে হওয়ার সুবাদে ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পরই তিনি অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার অবনতির পেছনে অন্যতম একজন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য ও অধিকাংশ ডিএমডি পলাতক অবস্থায় আত্মগোপনে চলে যান। অদৃশ্য কারণে মনিরুল মওলা বহাল তবিয়তে ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকের একজন পরিচালক গণমাধ্যমে জানান, নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মনিরুল মওলাকে অপসারণের দাবি ছিল। তবে আমরা বহিঃনিরীক্ষকের অডিট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখন প্রতিবেদন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অডিট রিপোর্টে এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি এবং নাবিল গ্রুপের ১৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মে তার সম্পৃক্ত পাওয়া গেছে। যে কারণে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে তাকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে।