পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ দল একমত হয়েছে: মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছেন। পিআর পদ্ধতি একদিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে দলগুলো ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন পায়। ফলে কোন দল এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারে না এবং সংসদে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও নিশ্চিত হয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা আপোস এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবেশ তৈরি হয়। এ পদ্ধতি চালু হলে দলগুলো বাধ্য হবে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে, যার ফলে একনায়কতান্ত্রিক প্রবনতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর উদ্যোগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।নেগরের দরগাহ গেইট এলাকার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সুলেমান হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট জেলা সভাপতি হযরত মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব হয় কারণ এতে বড় দলগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য কমে আসে। তখন ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ে।
রাজনৈতিক বৈচিত্রকে সম্মান করতে এবং আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে অধিকতর প্রতিনিধিত্বমূলক ও জবাবদিহিমূলক করতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিক্তিক নির্বাচন পদ্ধতির পথেই আমাদের চলতে হবে এটাই সর্বোত্তম পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা, কার্যক্রম নিষিদ্ধ
মুসলমানদের অনৈক্যের কারণে বর্তমান মুসলিম বিশ্ব আজ দিশেহারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা আজ একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বাস করছে। সমাজে রাষ্ট্রে সব জায়গায় ইসলাম ও ইসলাম প্রিয় জনগণকে কোনঠাসা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব অনেক তা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পালন করে তাহলে জালিম শক্তি আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
অতীতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে জালিমের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের ছোটখাটো পার্থক্য যেন বিভেদের কারণ না হয়, তাহলে মুসলিম সমাজ আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন না।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফিজ মাওলানা শায়খ মজদুদ্দীন আহমদ, শায়খ মাওলানা নুরুল ইসলাম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম আবরার, জামেয়া গলমুকাপন মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস শায়খ মাওলানা রুহুল আমিন, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সিলেট বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি মাঈনুদ্দীন খান তানভীর, জামেয়া কাজিরবাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, লামারগ্রাম মাদ্রাসা জকিগঞ্জের মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি আবুল হাসান, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট মহানগরের সভাপতি আসআদ উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরীর সভাপতি মাওলানা গাজী রহমতুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি সাইদ আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগরীর সভাপতি ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, শিক্ষা সচিব মাওলানা মাশুক আহমদ সালামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুতাছিম বিল্লাহ জালালী প্রমুখ।