১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার সম্ভব নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেক্স
প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪১ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে ১৫ মাসে অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। তবে কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, যা আমার ব্যর্থতা নয়—কারণ ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) পঞ্চগড় জেলা শহরের দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম মাদরাসা মাঠে আয়োজিত ‘আজিমুশান শানে রিসালাত সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

ড. খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের সরকারের মেয়াদ এখন ১৫ মাস। এ সময়ের মধ্যে আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সংস্কার এনেছি। হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছি। মডেল মসজিদগুলোর নির্মাণে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা শিগগিরই রিপোর্ট জমা দেবেন।

তিনি আরও জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পূর্বের কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। এ বিষয়ে একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করা হয়। গতকাল আমি সেই তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি—এবং সুপারিশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

হজ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরবে আটকে থাকা এজেন্সির ৩৯ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আমরা ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছি। আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। আমি নিজেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই, আর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অনিয়ম প্রতিরোধে সচেষ্ট আছি। আমরা একটি স্বচ্ছ প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হান্নান। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল আলম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা মফিজ উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল হাই, সহ-সভাপতি ক্বারী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুলতান মাহমুদ ও খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে পঞ্চগড়ের তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে ওলামায়ে কেরাম ১২ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তার হাতে তুলে দেন।