দুই উপদেষ্টার পদ তফশিল ঘোষণার সাথে সাথে কার্যকর হবে

এলজেডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ন, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:২১ অপরাহ্ন, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

এলজিআরডি ও যুব ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই ছাত্র উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র পেশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে কেবিনেট সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হবে। পদত্যাগপত্র দাখিলের পর দুই উপদেষ্টাই সচিবালয়ের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় অফিসে গিয়ে বিদায় গ্রহণ করেন। এ সময় আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “পদত্যাগপত্র দিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হবে। তবে কাল কেবিনেট মিটিংয়ে আমাদের ডাকা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: রিজওয়ানা হাসান তথ্য, আদিল এলজিআরডি ও আসিফ নজরুল যুব ও ক্রিয়ার দায়িত্বে

জানাযায়, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিকেল পাঁচটা নাগাদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তা গ্রহণ করেন। উভয় উপদেষ্টার পদত্যাগ নির্বাচন কমিশন তফশিল ঘোষণার সাথে সাথে কার্যকর হবে।

পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে অবদান রেখেছ, তা জাতি মনে রাখবে। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিকাশে তোমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।”

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি: রয়টার্স

তিনি আরও বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবসময় তোমাদের অবদান স্মরণ করবে। আমি তোমাদের সুন্দর ও শুভ ভবিষ্যৎ কামনা করি। এত অল্প সময়ে যা তুমি জাতিকে দিয়েছ, তা জাতি কখনো ভুলবে না। এটি একটি রূপান্তর মাত্র। আগামীতে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে তোমরা আরও বড় অবদান রাখবে।”

প্রধান উপদেষ্টা দুই ছাত্রনেতাকে দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান এবং উল্লেখ করেন, “সরকারে থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ, তা ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগাতে হবে।”