হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জনস্রোত

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ন, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:১৬ অপরাহ্ন, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তসহ দেশের নানা জেলা থেকে হাজারো মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন।

দীর্ঘ সময় সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষার পর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনতাকে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়। ভিড় সামাল দিতে প্রতিটি প্রবেশপথে কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছাত্র-জনতা দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করছেন।

আরও পড়ুন: শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না: আজহারী

রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জানাজায় অংশ নিতে মানুষ ছুটে এসেছেন। যে যেভাবে পেরেছেন, সময়ের আগেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন সবাই। সাধারণ মানুষের ভাষ্য, এই জানাজা সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ গণজমায়েতে পরিণত হতে পারে।

এদিকে, জানাজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

এর আগে শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে শহীদ হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। গোসল শেষে মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, শহীদ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজা শেষে তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগের সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে শরিফ ওসমান হাদিকে গুরুতর আহত করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরদিন ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।