তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও নিরাপত্তা নিয়ে যা জানালেন সালাহউদ্দিন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মাঠ যখন ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, ঠিক সেই সময় রাজধানীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাও নতুন মাত্রায় আলোচনায় এসেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সাম্প্রতিক এই হামলা কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, বরং চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার সকল প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো
তার ভাষায়, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক পরদিনই একজন সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীর ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে এটি পরিকল্পিত সহিংসতার ইঙ্গিত দেয়।’
তিনি জানান, বিএনপি যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখার নীতিতে অটল থাকবে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকলেও তা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়—সেই আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান
তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে নিরাপত্তা বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে সকল দলের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো ঝুঁকিকেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বিত ভূমিকা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
এদিকে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনও গুরুতর। চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারাত্মক মস্তিষ্ক আঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাকে নিবিড় পরিচর্যায় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন তার জন্য অত্যন্ত সংকটপূর্ণ সময়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগে এমন সহিংস ঘটনা ভোটের পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। তারা বলছেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি।





