আজ জুমাতুল বিদা

আজ শুক্রবার, ২৮ মার্চ পবিত্র মাহে রমজানের বিদায়ি জুমা, আরবিতে ‘জুমাতুল বিদা’। মর্যাদাপূর্ণ এ দিনটি মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। জুমাতুল বিদা অর্থ মহিমান্বিত, ফজিলতময় মাহে রমজানের শেষ জুমা। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে জুমার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা ‘জুমা’ নামে স্বতন্ত্র একটি সুরা নাজিল করেছেন। যা পবিত্র কুরআনের আটাশ নম্বর পারায় বাষট্টি নম্বর সিরিয়ালে অবস্থিত।
মুসলমানদের কাছে এমনিতেই সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা বেশি। আর রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও বেশি। আগামী বছরে আরেক রমজানের কোনো জুমা ভাগ্যে নাও জুটতে পারে, সে বিশ্বাস থেকেই মুসলমানরা জুমাতুল বিদা বা রমজানের শেষ জুমাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: নুসুক অ্যাপ এখন থেকে ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে
রমজানের শেষ জুমা আমাদের মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়নের দিন। কারণ রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজান রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী সহমর্মিতা ও সবরের মাস। রমজানের এ গুণ ও বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। বিদায়ি জুমায় এসে আমার জন্য যা করণীয় আছে, তন্মধ্যে অন্যতম করণীয় হচ্ছে এ মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়ন করা। নিজেদের আমলের হিসাব আমরা নিজেরা গ্রহণ করব। কেননা হজরত আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসের প্রবৃত্তির হিসাব গ্রহণ তথা আত্মপর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য (নেক) কাজ করে। আর দুর্বল সে ব্যক্তি, যে স্বীয় নফসের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আবার আল্লাহর কাছেও (ভালো কিছু প্রাপ্তির) আকাক্সক্ষা পোষণ করে।’ (তিরমিজি : ২৪৫৯; মুজামুল কাবীর : ৬৯৯৫)
রমজানের শেষ জুমা আমাদের মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়নের দিন। কারণ রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজান রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী সহমর্মিতা ও সবরের মাস। রমজানের এ গুণ ও বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। বিদায়ি জুমায় এসে আমার জন্য যা করণীয় আছে, তন্মধ্যে অন্যতম করণীয় হচ্ছে এ মুহাসাবা তথা আত্মমূল্যায়ন করা। নিজেদের আমলের হিসাব আমরা নিজেরা গ্রহণ করব। কেননা হজরত আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসের প্রবৃত্তির হিসাব গ্রহণ তথা আত্মপর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য (নেক) কাজ করে। আর দুর্বল সে ব্যক্তি, যে স্বীয় নফসের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আবার আল্লাহর কাছেও (ভালো কিছু প্রাপ্তির) আকাক্সক্ষা পোষণ করে।’ (তিরমিজি : ২৪৫৯; মুজামুল কাবীর : ৬৯৯৫)
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু
তাই রমজানের এ শেষ দিকে এসে আমাদের উচিত, আমরা নিজেদের হিসাব গ্রহণ করব, পেয়ারে হাবিবের শানে দরুদ পাঠ করব, সুরা কাহফ তেলাওয়াত করব। সে সঙ্গে লাইলাতুল কদরের প্রতিও বেশি গুরুত্বশীল হব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বিদায়ি জুমার বিশেষ গুরুত্ব অনুধাবন করে রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভ করার তওফিক দান করুন। আমিন।