নতুন ইতিহাস গড়ল স্পেসএক্সের স্টারশিপ

Any Akter
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে অভিযানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স সফলভাবে তাদের তৈরি বিশাল ‘স্টারশিপ’ রকেটের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী এই রকেটটি। স্পেসএক্সের তথ্যমতে, অর্ধেক বিশ্ব প্রদক্ষিণ শেষে স্টারশিপ সফলভাবে ভারত মহাসাগরে অবতরণ করে যা তাদের একাধিক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফলতা।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউটিউবের সতর্কবার্তা, শিশুদের ঝুঁকি বাড়বে

ষাট মিনিটের বেশি স্থায়ী এই অভিযানে স্টারশিপ আটটি নকল স্টারলিংক স্যাটেলাইট বহন করে। উড্ডয়নের পর রকেটটি তার বুস্টার সফলভাবে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে। পরে মূল মহাকাশযানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের পর নিরাপদে ভারত মহাসাগরে অবতরণ করে। পরীক্ষামূলক মিশন হওয়ায় কোনো অংশ পুনরুদ্ধার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে এআই ও আধুনিক শিক্ষণ কৌশল নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক জানান, স্টারশিপ ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর মিশনে ব্যবহৃত হবে। একই সঙ্গে নাসার ২০৩০ সালের চন্দ্রাভিযানের অংশ হিসেবেও এই রকেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি এ সাফল্যকে ‘চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পথে আরেকটি বড় পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দেন।

পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হওয়ায় স্পেসএক্সের কর্মীরা টেক্সাসের লঞ্চ সাইটে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইলন মাস্ক নিজেও প্রথমবারের মতো লঞ্চ কন্ট্রোল সেন্টারের বাইরে থেকে স্টারশিপের এই ঐতিহাসিক উড্ডয়ন প্রত্যক্ষ করেন।