ভালুকায় ভেকু দিয়ে বন বিভাগের ভূমির মাটি কাটার ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি

বন বিভাগের ভূমি থেকে মাটি কাটা-বেকুসহ ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করায় তমাল কান্তি সরকার (৫২) নামে এক কর্মরত সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে মো. মনিরুজ্জামান ওরফে জঙ্গইলা মনির (৪৭) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই মনির তার মুঠোফোন দিয়ে হুমকি দেয় সাংবাদিক তমাল কান্তি সরকারকে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সাংবাদিক তমাল নিজে বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ওরফে জঙ্গইলা মনির উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের হবিরবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল
থানায় লিখিত বিবরণে জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের হবিরবাড়ি মৌজায় ৭২২ নম্বর দাগের সরকারি বন বিভাগের জমি থেকে মো. মনিরুজ্জামান ওরফে জঙ্গইলা মনির তার বেকু দিয়ে মাটি কেটে সরকারি বন ভূমির ক্ষতি করে আসছে।
এরপর ওই বিষয়টি নজরে আসে দৈনিক জনতা পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিক তমাল কান্তির। সে বেকুসহ মাটি কাটার ছবি তুলে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে আপলোড করে। পরে মনির তার বেকুর ছবি দেখে গত ৩ এপ্রিল দুপুরে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সাংবাদিক তমাল কান্তি সরকারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন জঙ্গইলা মনির নামে এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. মনিরুজ্জামান ওরফে জঙ্গইলা মনির। তিনি স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ফোনে কইছি তারে, এইনের জিনিসটা ঐইনে লাগায়াদেছ তরে পাইলে থাবরাইয়াম।
সাংবাদিক তমাল কান্তি সরকার তার নিজের ফেসবুক আইডিতে মাটি কাটা বেকুসহ ছবি আপলোড করে লিখেছেন, হবিরবাড়ি মৌজার ৭২২ নম্বর দাগে বনের গেজেটভুক্ত জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। বনবিভাগ রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে।
বন জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে বন বিভাগের ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকতা রইস উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।