সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৪ পুলিশ আহত

Abid Rayhan Jaki
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ন, ৩১ মে ২০২৪ | আপডেট: ২:২৩ অপরাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় পরাজিত প্রার্থী আলাতাফ হোসেন লাল্টুর কর্মী সমর্থকদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ৮টার দিকে কলারোয়া থানা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই আসলাম, কনস্টেবল ফয়সাল,মিলন ও মিজান।সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: মাধবপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেফতা, ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার

স্থানীয়রা জানান, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও পরাজিত প্রার্থী আলাতাফ হোসেন লাল্টুর কর্মী সমর্থকদের সাথে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা‌ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কলারোয়া থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে মীমাংসা করার জন্য বসার আহ্বান জানায়। মীমাংসায় একমত পোষণ না করায় উভয় পক্ষকে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়েরের আহ্বান জানান কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ‌রফিকুল ইসলাম।

একপর্যায়ে পরাজিত প্রার্থী আলাতাফ হোসেন লাল্টুর সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা মজনু চৌধুরী থানার গেটের সামনে গিয়ে ওসি ‌রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করায় সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। পুলিশ বিষয়টি থামাতে গিয়ে পরাজিত প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের হামলার শিকার হন। এ সময় উক্ত ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাভারে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নিলেন ইউএনও

কলারোয়ার যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসান জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর পক্ষে ইউনিয়নে তারা একটি বিজয় মিছিল বের করেছিলেন। তবে এতে বাঁধা দেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার চেয়ারম্যান, মিজান সরদার ও বাবু হোসেন। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কিও হয়। পরবর্তীতে অজিয়ার রহমান থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষই থানা চত্ত্বরে হাজির হন। শালিস শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় এক নেতা আস্ফালন করেন। ওসি তার প্রতিবাদ করেন। এসময় পুলিশ সদস্যরা ওসির পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে দুর্বৃত্তরা চার পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক কিল, চড় ও ঘুষি মেরে আহত করেন।

অভিযুক্ত মজনু চৌধুরী বলেন, যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের নেতৃত্বে পরাজিত প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিয়ার রহমান, মিজানকে মারপিট করায় আমি থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশের ভূমিকা ভালো ছিল না। তাই অভিযোগটি ফিরিয়ে নিয়ে চলে আসছিলাম। সে সময় পুলিশ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার ছেলে ও আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। পরে পুলিশ নাটক সাজিয়ে আমরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছি বলে প্রচার করে দেয়।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।