পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, জানা গেল কত জমেছে

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ন, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। মসজিদের অ্যাকাউন্টে এ পর্যন্ত জমা হয়েছে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।  এখন চলছে গণনা। শনিবার (১২ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তারের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে রয়েছে ১০ টি দানবাক্স ও ১ টি ট্রাঙ্ক। যেগুলো সাধারণত তিন মাস পরপর খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১১ দিন পর।

আরও পড়ুন: বিজিবির হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো আহত হাতির চিকিৎসায় গিয়ে গুরুতর আহত ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনকে

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৭ টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০ টি দানবাক্স ও ১ টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়। এসব দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। গণনা শেষে মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

আরও পড়ুন: ভোলাগঞ্জে শত কোটি টাকার পাথর লুট: পাঁচজন আটক

টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মী ছাড়াও আছেন মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য। দানবাক্স খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূরদুরান্ত থেকে।

এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর সকালে মসজিদটির ১১ টি দানবাক্স খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সে সময় গণনা শেষে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়াও পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। তখন তিন মাস ১৩ দিনে দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ এই অর্থ।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের পাশাপাশি নানা ধরণের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষ। জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমির ওপর পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর মসজিদের বর্তমানে আওতাভূক্ত জমির পরিমাণ তিন একর ৮৮ শতাংশ।