ব্যারিস্টার কায়সার কামালের অর্থায়নে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা

Sanchoy Biswas
হৃদয় রায় সজীব, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ন, ০৪ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:১৫ পূর্বাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের চোখে আলো ফিরিয়ে দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগলেও আর্থিক সংকটে চিকিৎসা নিতে না পারা শত শত বয়োজ্যেষ্ঠ ও দুস্থ মানুষের জন্য তিনি নিজ অর্থায়নে চক্ষু চিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা করছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় “আর্তমানবতার সেবায় বিএনপি” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে কায়সার কামাল দুর্গাপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সহযোগিতায় রোগীরা পাচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, যাতায়াত, খাবারসহ যাবতীয় সেবা।

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

এর আগেও, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুর উপজেলার গুজিরকোণা গ্রামে বিএনপির উদ্যোগে এবং কায়সার কামালের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এক চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে ৯৩২ জন রোগীকে প্রাথমিকভাবে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। তাদের পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধাপে ময়মনসিংহের ড. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন করানো হচ্ছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) ৪র্থ ধাপে দুর্গাপুর থেকে ৪৬ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ময়মনসিংহ পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২৬ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ রয়েছেন। রোগীদের পরিবহনে সহায়তা করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দল।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে

চোখের চিকিৎসা নিতে আসা কাপাসাটিয়া গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, "টেহা-পয়সা নাই, চোখের চিকিৎসা করাইতে পারতাসিলাম না। কায়সার কামাল আমরারে চোখের ছানি অপারেশন করার ব্যবস্থা করছেন। আমরার কোনো টেহা-পয়সা লাগতাছে না।"

একইভাবে চোখের সমস্যায় ভোগা জুলেখা খাতুন বলেন, "চোখের চিকিৎসা করাতে পয়সা জোগাড় করতে পারছিলাম না। কায়সার ভাই আমাদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। আজ আমরা ময়মনসিংহ হাসপাতালে যাচ্ছি।"

রোগী নজরুল ইসলাম বলেন, "বহুদিন ধরে চোখের অসুখে ভুগছি। পয়সার অভাবে কোনো চিকিৎসা করাতে পারিনি। এবার কায়সার কামাল সাহেব আমার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি।"

মানবিক এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।