বগুড়ায় কৃষি কর্মকর্তার কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি

Sanchoy Biswas
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ন, ০৪ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৩:১২ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়ার কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তার কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবির পর মব সৃষ্টির চেষ্টা ও ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। এতে আসামিপক্ষ ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগী কৃষি কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে উক্ত কর্মকর্তার ছবি এডিট করে নারীসঙ্গ দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরবর্তীতে চাঁদা দাবি, ছিনতাই ও পর্নোগ্রাফি আইনে এক নারীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মশিদুল হক বগুড়ার কৃষি বিভাগের জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের উপ-পরিচালক।

মামলার সূত্র ধরে জানা যায়, গত ২৭শে জুলাই বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক। আদালতের বিচারক মেহেদী হাসানের আদেশে গত শুক্রবার ১লা আগস্ট বগুড়া সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। উক্ত আসামিরা হলেন শহরের মালগ্রাম এলাকার রত্না পারভীন নিপা এবং সেউজগাড়ির সৌরভ।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল

অভিযুক্তরা সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক ৪ মাস আগে বগুড়া জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে যোগদান করেন এবং তারপর থেকেই প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। গত ১৫ই জুন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে শহরের জলেশ্বরীতলা ইয়াকুবিয়া মোড়ে পথরোধ করে আসামিরা তাকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়। চাকু ঠেকিয়ে নারীকে কাছে বসিয়ে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে নেয়। তাকে ব্ল্যাকমেল করে এক দিনের মধ্যে ২০ লাখ টাকা দাবি করে এবং আইফোন ছিনিয়ে নেয়। চাঁদা না পেয়ে নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। অভিযুক্তরা কৃষি কর্মকর্তার বাসার সামনে গিয়ে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে। এছাড়াও চাঁদা না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে অপরাধী চক্রটি। এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে।

এবিষয়ে গত ৪ঠা আগস্ট, সোমবার বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির বলেন, উক্ত কৃষি কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধেও এক নারী বাদী হয়ে মামলা করেছে। উক্ত মামলাটিও তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার