কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বানরের পিঠা ভাগের কমিটি দেওয়ার অভিযোগ

নানা অনিয়ম ও কোন্দলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গাজীপুর জেলা বিএনপি!

Sanchoy Biswas
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১:১৯ পূর্বাহ্ন, ২০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে। জেলা বিএনপির আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব মিলে বানরের পিঠা ভাগের মতো ভাগ করে আওয়ামী নেতাদের দিয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করেছেন। তাদের ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নেতারা সংসদীয় এলাকা অনুযায়ী যার যার ইউনিট ভাগ করে কমিটি গঠন করেছেন। ফলে ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগিদের মূল্যায়ন করা হয়নি। স্থানীয় নেতারা জানান, তারা মাই ম্যান কমিটি করেছেন। অর্থাৎ শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের তথা দলের বিবেচনায় নয় তাদের নিজেদের পছন্দের লোককে কমিটিতে স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ পদে বাসিয়েছেন। এমনকি ডান্ডাবেড়ি পড়ে মায়ের জানাযা পড়া আজম খানকেও রাখা হয়নি কমিটিতে। অভিযোগ আছে কালিয়াকৈর পৌর ও উপজেলা কমিটি করা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে। সদস্যও নেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে। শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরেও ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে।  

এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা ও অংঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইশরাক সিদ্দিকী নিজেই বিএনপির সদস্য হয়েছেন ২০২২ সালে। তিনি পূর্বে কখনও দলের সদস্যও ছিলেন না। তার বড় ভাই ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বার বার বেকায়দায় ফেলেছেন। ইশরাক সিদ্দিকী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হয়েই ত্যাগি নেতাকর্মীদের মাইনাস ও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ায় ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে তার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলের জেষ্ট্য ও তৃণমূল নেতারা। কয়েকমাস ধরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে দলের বিভাজন আরো স্পস্ট হয়ে উঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারেক রহমানের কাছেও অভিযোগ দিয়েছে একটি পক্ষ। সে পক্ষের পক্ষে তৃণমূলের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী। উপজেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের নতুন কমিটিতে যাদের রাখা হচ্ছে তাদের অনেকেই ফ্যাসিষ্ট সরকারের সঙ্গে  আতাত করে চলেছেন। আর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিগত সরকারের সময়ে জেল জুলুম খাটা ত্যাগী নেতারা। এমনকি ডান্ডাবেড়ি পড়ে মায়ের জানাযা পড়া সেই আলোচিত আজম খানকে ইউনিয়ন কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপিতে আওয়ামী লীগের প্রায় ৩৫জন নেতা-কর্মীকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় মানসিক ভারসাম্য হারানো ছাত্রদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন বহু মামলার আসামী। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তিনবার কারানির্যাতিত হন। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি-জিএস ছিলেন। ছিলেন ছাত্রদলের উপজেলা সভাপতি। তার স্থলে যাকে আহবায়ক করা হয়েছে সেই নুরুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে উল্লেখ্যোগ্য কোন মামলা নেই। ছিলেন না দলের কোন কর্মসূচিতে। ছিলেন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে মিশে। তার  ভাই কামাল সিকদার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি হাসিনা সরকারের পতনের পর দলে সক্রিয় হয়েছেন। স্থানীয় নেতারা জানান, অর্থনৈতিক লেন-দেনের মাধ্যমে তিনি উপজেলা আহবায়কের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। পারভেজ আহমেদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ছিরেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বিগত সরকারের সময়ে তিনিও একাধিকবার জেল খেটেছেন। তার নামেও ২০টির অধিক মামলা রয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে যাকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি জেলা সদস্য সচিব ইশরাক সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত কর্মচারী এবং জুট ব্যবসায়ী।

উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গত ১৪ মে কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভাসহ জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে গাজীপুর জেলা বিএনপি। এরপর তৃণমূল নেতা–কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। ঠিক এক মাস পর ১৪ জুন বিকালে কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: রইস উদ্দিনকে ওমরাহ করিয়ে এবার তার বাড়িতে অপু বিশ্বাস

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদারকে, সদস্যসচিব করা হয়েছে এম আনোয়ার হোসেনকে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মামুদ সরকার ও সদস্য সচিব করা হয়েছে মহসিন উজ্জামানকে। তারা কেউই বিগত আন্দোলনে মাঠে ছিলেন না। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা পদ ভাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। পৌর বিএনপির আহবায়ক মামুদ সরকার বিগত ১৬ বছর সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল সিকদারকে ম্যানেজ করে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মানুষের জমি দখলের অভিযোগ থাকলেও দল কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিগত ৫ আগষ্টের পর হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে তিনি ইশরাক সিদ্দিকীর ছত্রছায়ায় মানুষের জায়গা জমি দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সদস্য সচিবও বিগত সরকারের সুবিধাভোগী। বিগত ১৬ বছর তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।  

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বিগত সরকারের সময়ে আন্দোলনের জন্য জেল খেটেছেন। তার জায়গা হয়নি আহবায়ক কমিটিতে।

উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ১৫ জুন বিপুল সংখ্যক নেতা–কর্মী পারভেজ আহমেদের পক্ষ নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একই সময়ে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে আরেকটি মিছিল বের হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা–পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এরপরও দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওইদিন কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক পারভেজ আহমেদকে গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ প্রভাব খাটিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দেন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

দলীয় নেতাকর্মীরা আরো জানান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কালিয়াকৈরে আরো বেশ কয়েকটি কামিটি গঠন করা হয়। এসকল কমিটিতেও দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে আতাত করে চলেছে এমন নেতাদের কমিটিতে পদ পদবী দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী মনগড়া কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় বিএনপির প্রাভবাশালী নেতারা এসব কমিটি ঠেকাতে এবং প্রতিবাদ জানাতে ঐক্য গড়ে তোলেন। এরই মধ্যে ঐক্য ঘোষনা দিয়ে নেতারা কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড ও সফিপুর বাজারে বেশ কয়েকটি বড় সভা ও সমাবেশ করেছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গত জুন থেকে আগষ্ট মাস পযন্ত কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপি, কালিয়াকৈর পৌর বিএনপি ও পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের ৫ টি ওয়ার্ড এবং ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ টি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ৮ আগষ্ট মৌচাক, আটাবহ ও বোয়ালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়েছে। বোয়ালি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে সুমীর কুমার গুহ আর সদস্য সচিব করা হয়েছে রিপন আল হাসানকে। বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষনার পর ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যারা জেল জোলুমের শিকার হয়ে রাজপথের রাজনীতি করে আসছে তারা কমিটি বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ করেছে।

বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান বলেন, ‘দল করতে গিয়ে জেল খেটেছি। জেলে থাকায় মায়ের মৃত্যুর আগে শেষ কথাটাও বলতে পারিনি। ডান্ডাবেরি আর হাতকড়া লাগিয়ে মায়ের জানাজা পড়েছি। তারপরও কমিটিতে যোগ্য মর্যাদা দেয়া হয়নি। দলের জন্য আর কি করলে আমাদের মতো নেতার জায়গা হবে।’

চাপাইর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডিজে রাব্বানি ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপি জালাল উদ্দিন আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ আট মাস কারাবরণ করলেও তাদের জায়গা হয়নি ইউনিয়ন কমিটি ও উপজেলার আহবায়ক কমিটিতে।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মৌচাক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন,‘ যাদের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে তারা বিগত সময়ে গলায় নৌকার ব্যাচ ঝুলিয়ে মিছিল করে আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন করেছে।

একই পরিবারের একাধিক জনকে পদ দেওয়া হয়: জানা গেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটির একই পরিবারের একাধিক লোকের জায়গা হলেও ত্যাগী ও কারানির্যাতিত নেতাকর্মীদের স্থান হয়নি।

তারেক রহমানের কাছে অভিযোগ:

বিগত সময়ে নিস্ক্রীয় নেতাদের কমিটিতে রাখায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরবিএনপির নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সম্প্রতি দুইটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৪  জনু কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে, সে কমিটির ত্রুটি-বিচ্যুতির বিষয়ে ২৬ জুন আপনাকে (তারেক রহমান) অবগত করা হয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে দিয়ে দেখা যায় উপজেলা কমিটির বেশিরভাগ সদস্য বিগত ১৬ বছর সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে নিক্রিয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে আতাত করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছে এবং এলাকায় সর্বমহলে বিতর্কিত। যেখানে আওয়ামী সংশ্লিষ্ট, নিস্ক্রিয় ও সুবিধাভোগীদের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তভূ্ক্িতকরা হয়েছে। সেখানে আমরা মাসের পর মাস রাজনৈতিক কারণে কারাবরণ করলেও আমরাসহ অনেক ত্যাগী ও নিযাতিত নেতাকর্মীদের কমিটিতে অন্তভূক্ত করা হয়নি। কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত বিতর্কিতদের বিষয়ে আরো তথ্য আওয়ামী সংশ্লিষ্ট স্থিরচিত্র ও উপযুক্ত প্রমাণাদি তদন্তকালে সরবরাহ করা হবে।  ওই অভিযোগটিতে স্বাক্ষর করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলার বিএনপির পক্ষে চাপাইর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডিজি রাব্বানী এবং ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন আহম্মেদ।

তারা  উপজেলা বিএনপির ৪১ সদস্য বিশি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ ১৭ জনকে ফ্যাসিষ্ট সরকারের সঙ্গে আতাত করে চলেছেন বলে চিহ্নিত করে ওই অভিযোগ উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া একই সময়ে তারেক রহমানের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি অভিযোগে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নির্বাচনের প্রচারনা করার ছবি সংযুক্ত করে অভিযোগটি দাখিল করেন।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘নতুন কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁরা সবাই ক্লিন ইমেজের। তাঁদের ব্যাপারে এলাকার মানুষের কোনো অভিযোগ নেই। অনেকে পদ না পেয়ে হয়তো নানা কথা বলতে পারে। কমিটিতে যারা রয়েছে তাদের দ্বারা মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল  বলেন, কালিয়াকৈর এবং গাজীপুর ইউনিট থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। কমিটির ব্যপারে অভিযোগ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যানের কাছেও দিয়েছে। সেখানে আমাদের কেউ অনুলিপি দিয়েছে ছবি ও ডকুমেন্টসহ। আওয়ামী দোসরদের দিয়ে যেভাবে কমিটি করেছে তা মোটেও কাম্য নয়।